রাবার বাগান। এগুলো সিলেট বিভাগের ঐতিহ্য। দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকরা আসেন এসব বাগান দর্শন করতে। দুর্গম পাহাড় পাড়ি দিয়ে এর সৌন্দর্য্য উপভোগ করার পর বিশ্রাম নেয়া আর রাত কাটানোর জন্য যখন পর্যটকরা একটি ভাল জায়গা খুঁজতেন তখন তাদেরকে হতাশ হতে হত। তবে এখন আর সেই হতাশা নেই। হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী পাহাড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা ৫ তারকা হোটেল দি প্যালেস রিসোর্ট এন্ড স্পা সবাইকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। সবুজে ঘেরা পাহাড়, গিরিখাদ, সরোবর, ঝরনা আর ৩০ হাজার গাছে ঢাকা ১৫০ একর ভূমিকে এমনভাবে সাজনো হয়েছে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না এতটুকু খুত। আর চারিদেকে চা বাগান, আর বাগান,রাবার ...
বাগানটির অন্যতম সৌন্দর্য হলো এটি একেক ঋতুতে একেক রকম সাজে সজ্জিত হয়। শীতকালে গাছের সব পাতা ঝরে গিয়ে যেমন রিক্ত হয়, তেমনি বর্ষায় ফিরে পায় নতুন যৌবন। কিছুদূর এগিয়েই চোখে পড়ে বাগানের অফিস।
অফিসের পাশেই রয়েছে গেস্টহাউস। চারদিকে নানা রঙের ফুলের গাছ, তারই মাঝে একটি আধাপাকা ভবন। গেস্টহাউসে অনুমতি সাপেক্ষে থাকার সুযোগও মেলে তাতে। রঙিন চালের ছাউনিতে গেস্টহাউসটি যেন প্রকৃতিরই একটা অংশ। বৃষ্টির দিনে মেলে বৃষ্টিবিলাসের সুযোগ। এমন বর্ষার দিনে এক কাপ চা খেতে খেতে বৃষ্টি দেখার মজাই আলাদা। বাগানের প্রতিটি গাছের পাতা থেকে বৃষ্টি ঝরে পড়ার অপরূপ দৃশ্য আর টিনের গায়ে বৃষ্টি পড়ার শব্দ মিলে যেন ভিন্নধর্মী এক অনুভূতির সৃষ্টি করে। আর বাগানে জোছনা রাতে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। এ সময় ভিন্ন রূপে সাজে বাগানের অপরূপ দৃশ্য।
বাহুবল উপজেলার রাবার বাগনের আয়তন ১৯৬৩.২২ একর এবং মোট উৎপাদন ৪ লক্ষ কেজি
বাহুবল বাজার থেকে সড়কপথে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক দিয়ে সিলেট যাওয়ার পথে পুটিজুরী স্থানটি পাওয়া যায় ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস